হঠাৎ করেই বন্ধুদের কাছে ফোন করে ক্ষমা চান সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ হোসেন (১৮)। এরপর রাতে বন্ধুরা ফোনে কল দিলে বন্ধ পেলে বাসায় গিয়ে জানালা দিয়ে সাজিদকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে বন্ধু ইয়াছিন ও হুসাইন।
সোমবার (০৩ জুন) রাতে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকার ইসলামপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেন শরীফের বাড়ীর নীচ তলায় একটি রুম থেকে সাজিদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সাজিদ হোসেন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের সফিকুল আলমের ছেলে। সে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, মা মারা যাওয়ার পর থেকে সাজিদ খালার কাছে থেকে বড় হয়। চাকরী সূত্রে খালা ও বাবা বাইরে থাকার কারণে সাজিদ একাই ওই বাড়িতে বসবাস করে লেখাপড়া করতো।
সন্ধ্যায় সে ফোন করে বন্ধুদের কাছে থেকে ক্ষমা চায়। পরে রাতে বন্ধুরা সাজিদের ফোনে কল দিলে বন্ধ পেলে বাসায় গিয়ে জানালা দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে না পারলেও এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পওয়ার পরে জানা যাবে বলেও জানান ও পুলিশ কর্মকর্তা।
সাজিদের বন্ধু ইয়াছিন ও হুসাইন জানান, হঠাত করেই বন্ধুদের কাছে ফোন করে ক্ষমা চান সাজিদ। পরে রাতে ফোনে না পেয়ে বাসায় গিয়ে জানালা দিয়ে সাজিদকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখি। পরে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানাই। তবে সাজিদ কি কারনে আত্মহত্যা করলো তা আমাদের বলেনি।