সিনিয়র আইনজীবী পরিচয়ে ১৮ বছর ধরে আইন পেশায় সেলিম উদ্দিন। সিনিয়র আইনজীবীদেরও বিভিন্ন সময় দিয়ে থাকেন নির্দেশনা। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেয়া এ প্রতারককে আটক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
বুধবার (৫ জুন) সকালে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ধরার পর তাকে সঙ্গে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি জানান, সেলিম উদ্দিন নামের ওই ‘প্রতারক’ ৩০ নম্বর আদালতের ভেতরে ঢুকে একজন আইনজীবীকে পেছন থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত আইনজীবীদের সন্দেহ হলে থাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে তার কাগজপত্র যাচাই এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি একজন প্রতারক।
আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার দুদকে যাচ্ছেন না বেনজীর
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির বলেন, তিনি ২০০৭ সালে ল পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন। এরপর বার কাউন্সিলে পরীক্ষার আবেদন করলেও আজ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। অথচ তিনি সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আইনজীবীদের মতো পোশাক পরে অন্য আইনজীবীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
সেলিম উদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের দুজন সিনিয়র আইনজীবীর রুম নম্বর ব্যবহার করে নিজের নামে সিল তৈরি করেন। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আদালতের ভেতরে সিনিয়র আইনজীবীদের নির্দেশনা দেন।
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির জানান, সেলিম উদ্দিন যা করছেন তা বার কাউন্সিল আইন ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বিধিমালার পরিপন্থি এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী চরম অপরাধ।
শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করার কথা জানিয়ে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির বলেন, যদি কারও সনদ না থাকে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয় তাহলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না, আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।