26 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

নদী-খাল-বিল নেই তবুও হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্রিজ!

নদী নেই, খাল-বিলও নেই, রাস্তাও নেই- তবুও নির্মাণ করা হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্রিজ। আছে শুধু দিগন্ত জোড়া ফসলি মাঠ। অজানা কারণে এই ফসলি মাঠের মধ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজটি।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ ব্রিজ। ইতোমধ্যে ব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। ব্রিজটি যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রান্ত কড়ইতলা গ্রাম। এরপরে রয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা কলসপাড় ইউনিয়নের নাকশি ও গাগলাজানি গ্রাম। ওই নির্মাণাধীন ব্রিজ এলাকা থেকে নালিতাবাড়ী-গাজীরখামার-শেরপুর সড়কের দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার।

আরও পড়ুনঃ  ‘আয়নাঘরে’ আরো যাদের দেখেছিলেন মাইকেল চাকমা

সাধারণত ব্রিজ নির্মাণ করা হয় পানিপ্রবাহ কিংবা যেখানে কোনো খাল-বিল এবং নদীনালা থাকে; কিন্তু শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের কড়ইকান্দা গ্রামের শেষপ্রান্তে এ নির্মাণাধীন ব্রিজটির আশপাশে নেই কোনো রাস্তা, নেই কোনো জলাশয় বা নদী।

স্থানীয় নজরুল ও শফিক বলেন, নদী বা খালের পানিপ্রবাহের পথ তো দূরে থাক ব্রিজের আশপাশে ফসলের জমি ছাড়া কিছুই নেই।

আরেক গ্রামবাসী রুহুল আমীন বলেন, গরু ছাড়া গোয়ালের যেমন মূল্য নেই। ঠিক তেমনি রাস্তা ছাড়া ব্রিজের কোনো মূল্য নেই। খোলা মাঠে এখানে কেন ব্রিজ করা হচ্ছে আমরা গ্রামবাসী কেউ জানি না।

আরও পড়ুনঃ  ব্রিটেনে আশ্রয় চাইতে পারেন হাসিনা, মোদির সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত নয়

গাজীরখামার ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদুল ইসলাম বলেন, আপাতদৃষ্টিতে ব্রিজের আশপাশে রাস্তা দেখা না গেলেও ভবিষ্যতে রাস্তা করার জন্য পাশের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাস্তা করার জন্য উনি জমির ব্যবস্থা করে দেবেন।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পূর্বে এখানে রাস্তা ছিল কিন্তু প্রভাবশালী মহল রাস্তা ছোট করে দখল করেছে। তবে এখানে ব্রিজও হবে, রাস্তাও হবে। এতে কোনো সরকারি টাকা অপচয় হবে না।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ