ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ। ইতোমধ্যে ভারতে যাওয়ার ভিসাও হাতে পেয়েছে আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
এরইমধ্যে এক ফেসবুক পোস্টে বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচারে প্রয়োজনীয় সব করার কথা জানিয়েছেন ডরিন।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে দেয়া ওই ফেসবুক পোস্টে ডরিন লিখেছেন, ‘তোমার হত্যার বিচার আমি করবোই বাবা ইনশাআল্লাহ। চিন্তা করো না তুমি। তোমার ডরিন ভুলে যাবে না কোনোদিনও। এত নিকৃষ্টভাবে হত্যা, তোমাকে কষ্ট দিয়েছে। বিচার হবেই বাবা আমি ভুলবো না কখনোই। আমি এর শেষ দেখবো বাবা।’
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন। ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ভাই তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শাহিন কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের ৫৬বিইউ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ রয়েছে ওই ফ্ল্যাটেই হত্যা করা হয় আনারকে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা / উদ্ধার হওয়া মাংসের ফরেনসিক রিপোর্ট ১০ দিনেও হাতে পায়নি সিআইডি
শাহিনের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাই তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পরে, গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ, মেলেনি মরদেহ।