21 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা, বর্ণনা দিলেন ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মী

রাজধানীর গুলশানে মনিরুল নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করেছে পুলিশেরই আরক সদস্য। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে।

কারণ ঘটনাটি ঘটেছে বারিধারায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে। শনিবার (৮ জুন) রাত ১২ টার দিকে হঠাৎ করেই এমন ঘটনা ঘটে।

তবে হঠাৎ করে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো? সে বিষয়ে ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, ঘটনার সময় তারা দূতাবাসের ভিতরে ছিলেন। হঠাৎ করে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে বের হয়ে আসেন। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখেন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ।

আরও পড়ুনঃ  আযমী জামায়াতে ইসলামীর কেউ না

তিনি আরও জানান, তখন তারা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞেস করেন যে কি হয়েছে? কাউসার বলেন, শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে, এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে! এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যান। এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছেন। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত ছিলেন কাউসার আহমেদ।

আরও পড়ুনঃ  কবে থেকে চালু হবে মোবাইল ইন্টারনেট, জানালেন পলক

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন।

রাত সোয়া ১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ ওপড় হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের উপর পড়েছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াট টিম ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।

ঘটনার সময়ে ওই সড়ক ধরে কর্মস্থল থেকে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদসহ কয়েকজন। হাসান আহমেদ কালবেলাকে বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনী দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই অস্ত্রধারী আরেক পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের চালক গাড়ির গতি থামালে তিনি গাড়ি থেকেই জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? দাঁড়িয়ে থাকা অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য হুঙ্কার দিয়েই তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনঃ  রেলকর্মীর কামড়ে সাপের মৃত্যু

তিনি জানান, ওই সময়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। তখন আশপাশের লোকজন উকিঝুঁকি দিলেও গুলির কারণে কেউ সামনে আসতে সাহস পাচ্ছিল না।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ