টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হারানোর পর টেক্সাস থেকে নিউইয়র্কে চলে আসে বাংলাদেশ দল। নিউইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। লঙ্কানদের বিপক্ষে শূন্য রানের রেকর্ড গড়ার পরও টাইগারদের একাদশে থাকতে পারেন সৌম্য সরকার!
নিউইয়র্কে অস্থায়ী এই স্টেডিয়াম সম্পর্কে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো ধারণা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। টাইগাররা এ মাঠে সর্বশেষ ম্যাচ খেলে ভারতের বিপক্ষে। আর বিশ্বকাপের মূল পর্বেই এ মাঠেই দুটি ম্যাচ খেলেছে প্রোটিয়ারা।
কাজেই কন্ডিশন বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থেকেই এ ম্যাচে খেলতে নামবে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হবে দুদল
প্রোটিয়া আর টাইগার দুদলেই একটি জায়গায় মিল রয়েছে। এ যাবৎকালে খেলা প্রায় সব ম্যাচেই ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। একই চিত্র দক্ষিণ আফ্রিকা বেলাতেও। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলা দুই ম্যাচে দ্রুত সাজঘরে ফিরেছে তাদের টপ অর্ডার। এরপরও দুদলের ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই।
এ ম্যাচের আগমুর্হূত বাংলাদেশ অপেক্ষা করবে শরীফুল ইসলামের জন্য। যদি পুরোপুরি সিট হতে পারেন তাহলে বাঁহাতি এই পেসার ফিরতে পারেন টাইগার একাদশে। আর না হলে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কে খেলা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে উইনিং কম্বিনেশন নাও ভাঙতে পারে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের মতো তাদেরও ভাবনার বিষয় টপ অর্ডার। এ ম্যাচে জয় পেলে সুপার এইট নিশ্চিত হবে প্রোটিয়াদের। হারলেও সুযোগ থাকবে।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে, সেরা আটের দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে যাবে টাইগাররা।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার,) নজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।