28 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

লায়লার করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেফতার

দেশের পরিচিতমুখ টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফারহাদের দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় সোমবার (১০ জুন) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক সময় সংবাদকে বলেন, টিকটকার মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে মামুন কুমিল্লায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ আমাদেরকে তাকে গ্রেফতারের একটি রিকুইজিশন প্রেরণ করে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় আমরা দাউদকান্দি টোল প্লাজায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি টিম আসলে আমরা মামুনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করি।

আরও পড়ুনঃ  কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত

ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা জানিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। এরপর সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এখন আমাদের টিম কুমিল্লায় যাচ্ছে। কুমিল্লার পুলিশ প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করবে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।

অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

আরও পড়ুনঃ  ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ছড়িয়ে লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীসময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

আরও পড়ুনঃ  শাটডাউন সায়েন্সল্যাব: জড়ো হচ্ছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ