কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোকাকোলা পণ্যের বয়কটের ডাক ওঠে। সে সময় বয়কটের মুখে পড়ে বিক্রি কমে যায় এক সময়ের জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলার। তবে কিছুদিন পরে মানুষ এ বয়কট মনে রাখেনি। ফলে কোকাকোলা বিক্রি আবার কিছুটা বেড়ে যায়। এখন থেকে আবার নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে কোকাকোলা বয়কটের ডাক। নেটিজেনরা এখন সারা জীবনের জন্য এ পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।
জানা গেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোম্পানি ও পণ্য বয়কটের ঘোষণায় বিভিন্ন দেশে এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ড। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে বয়কটের ডাকে বিখ্যাত ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস এখন লোকসানের মুখে। শুধু ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতেই নয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে পণ্য বয়কটের ডাক আসে।
আজাদুল ইসলাম আদনান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এখন থেকে এটাই হোক। বয়কটের শক্তি কতটা দৃঢ় হতে পারে তা ভাইরাল ভিডিওই বলে দেয়। জয় হোক মানবতার, জয় হোক মনুষ্যত্বের।
এস এম নাজমুস সাকিব নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি ভারতের সকল পণ্য বর্জন করেছি। এছাড়া ফিলিস্তিনকে সমর্থন স্বরূপ ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জন করেছি।
জাহিদুল ইসলাম মোল্লা নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, কোকাকোলা সম্পর্কে জানার পর থেকে একটিও আমি কিনি নাই। দোকানে মোজো পাইলে নিয়েছি, না পাইলে কিছু না নিয়ে চলে এসেছি। যেহেতু আমি সরাসরি ফিলিস্তিন গিয়ে সাহায্য করতে পারব না,
সেজন্য মোজো কিনে যদি এক টাকার সাহায্য করা হয়, তবে এতেই আমার সার্থকতা রয়েছে।
শহিদ হোসাইন ভূঁইয়া নামে একজন লিখেছেন, যে দোকানেই থাকবে কোক! সেই দোকানই বয়কট হোক।
মোহাম্মদ নূর কাদের জিদান নামে একজন লিখেছেন, মুসলমানরা ভালো করেই জানে, ইসরায়েলের কোনো পণ্য খাওয়া মানে আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইদের রক্ত খাওয়ার মতো। যতই চেষ্টা করুক না কেন, যাদের হৃদয়ে আল্লাহর প্রেম থাকবে তারা কখনও এই কোক বা ইসরায়েলের কোনো পণ্যই ব্যবহার করবে না।
উল্লেখ্য, কোনো পণ্য, ব্যক্তি, সংস্থা বা দেশকে রাজনৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশগত যেকোনো কারণে বর্জন করা, স্বেচ্ছায় সেবা নেওয়া বা পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকাটাই মূলত বয়কট। সোজা কথায়, কোনো এক ইস্যু নিয়ে বিরোধিতার কারণে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য, মানুষ বা দেশকে বর্জন করা। পণ্য বয়কটের ডাক প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।