আদমশুমারির মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণীর সংখ্যাও হিসাব করা হয়। এজন্য পরিচালনা করা হয় অর্থনৈতিক জরিপ। এ হিসাব অনুসারে পাকিস্তানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার (১২ জুন) সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বেড়ে ৫৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। দেশটি মাল টানার জন্য গাধার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ফলে কয়েক বছর ধরে এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক জরিপে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জরিপে বলা হয়েছে, খুব দ্রুততার সঙ্গে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৫ লাখ। এরপর ২০২০-২১ সালে ৫৬ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫৭ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে গিয়ে তা ৫৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। এরপর সবশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৫৯ লাখে গিয়ে ঠেকেছে। গত এক বছরে দেশটিতে প্রায় এক লাখ গাধা বেড়েছে।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব এ জরিপের তথ্য প্রকাশ করেন। এতে দেখা গেছে, দেশটিতে গরুর সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে গরু ৫ কোটি ৭৫ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মহিষের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৬৩ লাখে দাঁড়িয়েছে আর ভেড়ার সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ২৭ লাখ হয়েছে। একইসঙ্গে ছাগলের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে দেশটিতে আট কোটি ৭০ লাখ ছাগল রয়েছে।
দেশে বেড়েছে গাধার সংখ্যা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে গত পাঁচ বছরে ঘোড়া ও ঘোড়া-গাধার সংকর জাতের সংখ্যা বাড়েনি। আগের সংখ্যাতেই এটি স্থির রয়েছে। এছাড়া দেশটিতে গত চার বছর ধরে উটের সংখ্যা বাড়েনি। কিন্তু গেল অর্থবছরে উটের সংখ্যা বেড়েছে। এটি ১১ লাখ থেকে বেড়ে ১২ লাখে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গৃহপালিত পশুর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। দেশটির অর্থনীতি অনেকাংশে গৃহপালিত পশুপাখির ওপর ওপর নির্ভরশীল। এ খাতের সঙ্গে দেশটির প্রায় ৮০ লাখ পরিবার জড়িত রয়েছে।