21 C
Dhaka
Sunday, December 1, 2024

কারাগারের মধ্যেই জেল সুপারের গরুর খামার

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বিশালদেহী ষাড়টির দাম হাঁকানো হয়েছে ২০ লাখ টাকা। নাম তার কালা পাহাড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক বিশালাকার গরু থাকলেও একদিক থেকে কালা পাহাড় অনন্য। সে বেড়ে উঠেছে কারাগারের মধ্যে। জন্মও সেখানেই। জেল সুপারের শখের খামারের সবচেয়ে বড় সদস্য এই কালা পাহাড়।

একজন জেল সুপার কারাগারের ভেতরে গরুর খামার করেছেন, অবাক করা ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়। জানা যায়, ওই খামার দেখাশোনা করছেন কারাগারের বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি দফতরের ব্যারাকে বিক্রির উদ্দেশে এভাবে পশু পালন এবং সেই পশু দেখভালে সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক—এমন প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ  ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা কী?

খামার তৈরি করে গরু পালনের এই ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে। সেখানকার জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই খামার পরিচালনা করে আসছেন। খামারটিতে আছে কালা পাহাড়সহ তিনটি গরু। এদেরকে খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে গোসল করানো এবং খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৮-১০ জন সরকারি কর্মচারী।

জেলখানায় কর্মরত কারারক্ষী, নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্যান্যদের দিয়ে ব্যক্তিগত খামার পরিচালনার বিষয়ে জানতে মুন্সীগঞ্জের জেল সুপার মো. বজলুর রশীদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। ফোন করে সাড়া পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসকের কাছ থেকেও।

আরও পড়ুনঃ  সিলমারা ব্যালটের ছবি ফেসবুকে পোস্ট ছাত্রলীগ নেতার

তবে মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই গরুর খামার করেছেন। ২০০৭ সালে ঝালকাঠি কারাগারে থাকার সময় একই কাজ করেছেন তিনি। পরে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার হিসেবে যোগ দিলে সেখানেও একই চিত্র দেখা যায়। এভাবে খামার করে তিনি আয়ও করছেন অনেক টাকা।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ