যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলা সৌদি আরবের দীর্ঘ ৫০ বছরের পেট্রোডলার চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে এই চুক্তি নবায়ন করতে চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ।
১৯৭০-এর দশকে হওয়া ওই চুক্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারে তেল বিক্রি করবে সৌদি আরব। কেবল তাই নয়, তেল বিক্রির উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের বন্ড কেনার শর্তও ছিল চুক্তিতে। বলা হয়, এর বিনিময়ে সৌদি আরবকে সামরিক সমর্থন ও সুরক্ষা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবারে সেই চুক্তিতে ইতি টেনেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় ডলারের বাইরে অন্যান্য দেশের মুদ্রাতেও তেল বিক্রি করতে চায় রিয়াদ। এতে করে খুব সহজেই রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্যদের কাছে তেল বিক্রি করতে পারবে তারা।
সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের আধিপত্যের জন্য বড় হুমকি আকারে হাজির হবে, বলছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। প্রকারান্তরে মার্কিন অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাজদাক স্টক এক্সচেঞ্জসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ার বাজারের বিশ্লেষণ বলছে, সৌদি আরব অন্য দেশের মুদ্রায় তেল বিক্রি শুরু করলে বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের চাহিদাও কমে আসবে।
সৌদির এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবও খর্ব করবে, বলছেন বিশ্লেষকরা। এরই মাঝে রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকার নেতৃত্বে গঠিত জোট ব্রিকসসহ যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দেশগুলো সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।