21 C
Dhaka
Wednesday, December 11, 2024

এবার আছাদুজ্জামানের দুর্নীতি তদন্তে নামছে দুদক?

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আসা শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই দুদক পুলিশের বহুল বিতর্কিত সাবেক এ কর্মকর্তাকে তলব করেছে।

বেনজীর ইস্যু শেষ হওয়ার আগেই পুলিশের আরেক দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাবেক কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে এসেছে। তার বিষয়েও দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

আরও পড়ুনঃ  স্লুইসগেটে নিখোঁজের একদিন পর সেই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার

খুরশীদ আলম খান একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামাম মিয়ার অবৈধ সম্পদের যে তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, দুদক তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে পারে। পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই এগুলোর অনুসন্ধান হওয়া দরকার।

বেনজীর কেলেঙ্কারির পর পুলিশের আরেক কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, যতই প্রভাবশালী হোক দুর্নীতি করলে কারও ছাড় নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’নীতি ঘোষণা দিয়েছেন এবং দুদককেও স্বাধীন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যতই প্রভাবশালী হোক দুর্নীতি করলে কারও ছাড় নেই।

আরও পড়ুনঃ  সেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী আটক

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, দুর্নীতি করলে তদন্ত হবে। দুদক এটি করবে। দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে, বিচার হবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুদকও স্বাধীন। যে যতো প্রভাবশালী হোক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা যাবে। তদন্ত শেষে মামলা করা যাবে, মানে বিচারের আওতায় আসবে।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি ও জমির তথ্য পাওয়ার খবর প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনারের হাড়-মাংস আলাদা করার দায়িত্বে ছিল যারা

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

এদিকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ লাভের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর আছাদুজ্জামান মিয়া পরিবার- পরিজনদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ