কোরবানি ঈদ শেষ হয়ছে। প্রতিবারের মতো এবারও কোরবানি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। এসব আলোচনায় মাত্রা জুগিয়েছে কয়েকটি ঘটনা। এর মধ্যে একটি হলো ১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে ঘটা লঙ্কাকাণ্ড।
ঢাকার সাদিক এগ্রোর ছাগলটি নিয়ে বেশ চর্চা চলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কোরবানির জন্য ছাগলটি কেনা হয়েছে বলে পোস্ট দেয় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। এরপরই ঘটে বিপত্তি।
সেই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে অনেকেই বলেন আলোচিত ওই তরুণ, রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমানের ছেলে। এরপর ড. মতিউর রহমানকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
যদিও বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন ড. মতিউর রহমান। বেসরকারি একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ড. মতিউর রহমান বলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি এই নামে আমার কোনো আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলের নাম আহমেদ তৌফিকুর রহমান আর মেয়ের নাম ফারহানা রহমান। থাকে কানাডায়। বিদেশে পড়াশোনা করে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা জেনে আমার ছেলে বলেছে, যারা আমাদের বিরুদ্ধে সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে, আমাদের হয়রানি করছে, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করবেন। আপনি কারো সম্মানহানি করলে আল্লাহ আপনার সম্মানহানি করবে।’
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি।
রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, পেশাগত জীবনে মাথা উঁচু করে চাকরি করেছি। কখনো দুর্নীতির সঙ্গে আপস করিনি। কেউ যদি দুর্নীতির ন্যূনতম কোনো প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে যা শাস্তি দেবেন তাই মাথা পেতে নেব।
ড. মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি ছিলেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।