অবশেষে ভোলার তজুমদ্দিনেও দেখা মিলল ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার। এতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কাচারী বাড়ির দরজায় এলাকাবাসী দেখতে পায় রাসেল ভাইপার নামের একটি বিষাক্ত সাপটি। এ সময় স্থানীয়রা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে মাটিচাপা দেন।
গতকাল বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী ঘাট সংলগ্ন একটি ফসলি জমির খেলার মাঠে বল খেলতে গেলে দেখা হয় সাপটির সঙ্গে। স্থানীয় খেলোয়াড় যারা ছিল সাপটি তাদের আক্রমণ করতে আসলে, তারা ওই মুহূর্তে হাতের কাছে যা ছিল দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে সাপটিকে মেরে ফেলে। পরে পলিথিন পেঁচিয়ে সাপটিকে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
রায়হান নামে একজন খেলোয়াড় জানান, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে রাসেল ভাইপার সাপ দেখেছি। এবার বাস্তবে ফসলি জমিতে ফুটবল খেলতে গিয়ে সাপটিকে নিজ চোখে দেখলাম। পরে সাপটির ছবি তুলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শনাক্ত করি যে সাপটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। সাপটি দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
সুনামগঞ্জে ৮৮ ইউনিয়নের আট লাখ মানুষ পানিবন্দি
জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত ও কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে শশীগঞ্জ বনবিভাগের বিট অফিসার গাজী মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। বাচ্চা দেওয়ার কারণে হয়তো ওই সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।