জয়পুরহাটের মেহেদী হাসান, ২০০৬ সালে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন পুলিশে। অভিযোগ উঠেছে এরই মধ্যে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন তিনি। স্থানীয়রা বলছেন, চাকরি পাওয়ার পরই শুরু হয় মেহেদীর পরিবর্তন। কয়েক বছরেই গ্রামে তুলেছেন পাকাবাড়ি, কিনেছেন ধানি জমি। ক্ষমতার দাপটও চোখে পড়ার মতো।
পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করেই তাঁর এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া নিয়ে কানাঘুষা চলে আসছে স্থানীয়দের মধ্যে। এরই মধ্যে তাঁর জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসানের নামে মোট ৯১ লাখ ২৪ হাজার ২৫৪ টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। ঋণ রয়েছে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৭০ টাকার।
স্থানীয়রা বলছে, একজন পুলিশের কনস্টেবল হয়ে অল্প কয়েক বছরেই প্রায় ১৫ বিঘা জমি কিনেছেন মেহেদী। সেই সঙ্গে বাড়িতে পাকা বাড়িও করেছেন। ক্ষমতার নানা অপব্যবহারও করে আসছেন চাকরি পাওয়ার পর থেকে।
এরই মধ্যে মেহেদীর জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। রাজশাহী বিভাগের দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৬২ লাখ টাকার তথ্য পেয়ে মেহেদী হাসানের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। এ তদন্ত বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বলেন, অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোচিত মেহেদী হাসান নাটোর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।