চাকরি জীবনের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে গেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান। ছাগল নিয়ে ছেলে ইফাতের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের চাপে তারই সাজানো স্ক্রিপ্ট নিয়ে মিডিয়ার সামনে আসেন মতিউর।
পারিবারিক কলহের কারণে দুপক্ষের স্ত্রী-সন্তানদের সম্পর্ক সুখকর নয়। এই সুযোগে লায়লা তার স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হন ইফাতের কারণেই তাদের আজ এ অবস্থা। তাই ইফাতের পরিচয় ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করলে সব ঝামেলা চুকে যাবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ছেলের স্বীকৃতি অস্বীকার করেন বাবা। এরপর ঘরে-বাইরে তুমুল চাপে পড়েন মতিউর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মতিউরকে চরম স্বার্থপর আখ্যা দিয়ে ট্রল চলতে থাকে। আর ঘরে রাগ-অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ইফাত। এরপর ইফাতের বোন মাধবী ও মা শাম্মী মতিউরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনা অবহিত করেন।
তখন পারিবারিকভাবে আলোচনা করে ইফাতকে মাদকাসক্ত, উচ্ছৃঙ্খল হিসাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করতে স্ক্রিপ্ট সাজানো হয়। সেখানে ইফাতকে অনেক আগেই ত্যাজ্য করার ঘোষণা ছিল। কিন্তু ইফাতের আপত্তির মুখে সেটাও সফল হয়নি।
এক পর্যায়ে পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফান দেশত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। বুধবার চট্টগ্রাম হয়ে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন তারা।