20 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

জার্মানিতে কবুতরে বিরক্ত মানুষ, মেরে ফেলতে গণভোট

জার্মানিতে কবুতর মেরে ফেলতে গণভোট হয়েছে। সেই ভোটে কবুতর মেরে ফেলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা। অন্যদিকে এ ধরনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন প্রাণী অধিকার কর্মীরা। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রাণী অধিকার কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে লিমবুর্গ অ্যান ডার লাহন শহরে গণভোটটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এমন অদ্ভূত বিষয়ে গণভোট হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, কবুতরের বিষ্ঠা। কবুতরের মলমূত্রে অতিষ্ঠ হয়ে শহরের বাসিন্দারা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজপাখি দিয়ে কবুতর মেরে ফেলার দাবি জানান। কেউ কেউ কবুতরের বিষ্ঠায় অতিষ্ঠ হয়ে আইনের আশ্রয়ও নিয়েছেন। এ নিয়ে প্রাণী অধিকারকর্মীদের সঙ্গে চলছে আইনি লড়াই। এরই মধ্যে লিমবুর্গের নিউমার্কেট কেন্দ্রীয় স্কোয়ারের আশপাশের বাসিন্দা, রেস্তোরাঁ এবং বাজারের বিক্রেতারা আন্দোলনেও নেমেছেন।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূসের মামলার বিষয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

গত ২০ জুন লিমবুর্গের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা গণভোটের ফলাফল নিয়ে এগিয়ে যাবে কি না, তা বিবেচনা করছেন।

শহরের মুখপাত্র জোহানেস লাউবাচক বলেন, গণভোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। রেজোলিউশনে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে আরও অধিকতর পর্যালোচনা করা হবে।

এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, বছরের পর বছর ধরে শহরের কবুতরের কারণে তারা হতাশ। গত বছর নভেম্বরে শহরের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয়, লিমবুর্গের কবুতরের সংখ্যা কমানোর জন্য শহরে বাজপাখি ছেড়ে দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ  রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সামাজিক মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটারে) একটি পোস্টে বলা হয়, গত সপ্তাহে পশ্চিম জার্মান রাজ্য হেসের লিমবুর্গ আন ডার লাহন শহরের বাসিন্দারা ৭০০ কবুতরকে মেরে ফেলার জন্য ভোট দিয়েছেন।

মেয়র মারিয়াস হ্যান বলেছেন, লিমবুর্গের বাসিন্দারা ‘তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে’। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী দুই বছরের মধ্যে একটি বাজপাখির মাধ্যমে কবুতরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

এদিকে এ ধরনের কার্যক্রমে পশু অধিকার কর্মীরা আতঙ্কিত। সমালোচকেরা বলছেন, এ ধরনের কার্যক্রম সত্যিই অগ্রহণযোগ্য।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমামের

এদিকে ফ্রাঙ্কফুর্টসহ জার্মানির অন্যান্য শহরগুলোতে কবুতরের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে হেগেন শহরে পাখিগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ্যা করে তোলার জন্য একটি ওষুধের পরীক্ষা চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ