চিত্রনায়িকা পরী মণিকাণ্ডে চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন। বলা হচ্ছে, পরী মণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর কারণেই বিপদের মুখে তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পরী মণি। নায়িকা বলেন, ‘কেবল সম্পর্কের কারণে চাকরি যাবে তা হতে পারে না। সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার!’
গণমাধ্যমে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বলতে গেলে তো অনেক কথাই আসবে। আমার জীবনের ২৭ দিন বা জেলজীবন, বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে শুরু করে, বাসায় আসা পর্যন্ত কোনো কিছু নিয়ে আজ পর্যন্ত কারও সামনে কথা বলিনি। ২৭ দিনের ঘটনার কথা কোথাও ২৭ সেকেন্ডও বলিনি।’
তাঁর দাবি সাকলায়েনের বিষয়টি সেই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। পরীর বক্তব্য, ‘এই সবকিছুই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনো জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। তবে সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।’
এদিকে, গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাকলায়েন ধারাবাহিকভাবে পরী মণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকার বাসায় তিনি অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়া গেছে।