প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাপ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা যখন মাছ ধরতে বসি, তখন দেখি পাশ দিয়েই সাপ যাচ্ছে। একদিন দেখি আমার বসার স্থানের পাশেই একটা সাপ মুখ বের করে আছে। এত বড় একটা সাপ। কই, কোনোদিন আমাকে সাপে কাটেনি তো। কোনোদিন ভয়ও পাইনি।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে রাসেল ভাইপারের উপদ্রব প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জীবজন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাপ বরং মানুষকে ভয় পায়। ভয় বা আতঙ্ক থেকেই মানুষকে কামড় দিতে আসে। তাই সাপকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় করলে মানুষকেই করতে হয়, জীবজন্তু বা সাপকে নয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু সাপের উপদ্রব বেড়েছে, এখন চলাফেরায় সতর্ক হতে হবে। আমি একটা বিষয়ে বিশ্বাস করি, জীবজন্তু-সাপ যাই বলেন, এরা কোনোদিন খামোখা কোনো মানুষকে আক্রমণ করে না, যদি না তারা ভীত হয়ে যায় বা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থাকে। তাছাড়া তারা কোনোদিন কারও ক্ষতি করে না।
এ ছাড়া ভারত সফরের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ নিয়ে তীব্র সমালোচনায় সরাসরি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের রেলপথ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে কেন, তা বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই। তাতে কি বিক্রি হয়ে গেছে তারা? এতে বরং যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে তাদের। একইসঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও বেড়েছে।
কীসের মাধ্যমে দেশ বিক্রি হয়—সেই প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, যারা বলে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারা বলুক বিক্রিটা কীসের মাপে হচ্ছে? মাপটা কীসের মাধ্যমে হচ্ছে?
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। সারাবিশ্বে একটিমাত্র মিত্র শক্তি ভারত, যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীন করে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কোনো দেশ যুদ্ধে সহযোগিতা করতে এলে তারা সেখানেই থেকে যায়। বিজয়ী হওয়ার পরও তারা দেশ ছাড়ে না। এ রকম অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। অথচ ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছে এবং জাতির পিতার আহ্বানে আবার তারা ফিরেও গেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে বিক্রি হয়। আমি বলব, যারাই বলছে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারাই বরং দেশকে বিক্রি করতে চেয়েছে।