গরাদের দুই পারের মধ্যে নৈতিক দুরত্ব থাকলেও শরীরী দুরত্ব মুছে ফেললেন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা। জেলের কয়েদির সঙ্গেই লিপ্ত হলেন অবাদ যৌনতায়। অপরাধীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার এমন যৌনতার ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। জেলের অন্দরেই এমন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসায় কার্যত ‘থ’ হয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মহিলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম লন্ডনের এইচএমপি ওয়ান্ডওর্থ জেলখানায়। লিন্ডা দে সৌসা অ্যাবরিউ নামে ৩০ বছর বয়সি অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা এই জেলেরই কর্মী। শুক্রবার ইন্টারনেটে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় জেলের অন্দরে ওই যৌনতার ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, জেলেরই এক অজ্ঞাতপরিচয় কয়েদির সঙ্গে পুলিশের পোশাকেই জেলের ভেতরে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কয়েদির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গমের সময় পাশে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে জেলের অন্যান্য কর্মীদের। কয়েদিদেরই একজন এই ঘটনার ভিডিও করে। যা ছড়িয়ে পরে সোশাল মিডিয়ায়।
বলার অপেক্ষা রাখে এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় মুখ পুড়েছে প্রশাসনের। লন্ডনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক পুলিশ কর্তা বলেন, জেল কর্মকর্তারএমন ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। ইতিমধ্যেই ওই জেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সরকারি অফিসে দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে কয়েদির সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার ঘটনায় শীঘ্রই অভিযুক্ত মহিলাকে আদালতে পেশ করা হবে জানা যাচ্ছে। স্ক্যান্ডেল প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত মহিলা চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শতাব্দী প্রাচীন পুরানো লন্ডনের এই এইচএমপি ওয়ান্ডওর্থ জেল। ১৮৫১ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এই জেলখানা। সেই সময়ে অল্প কয়েদির জন্য এই জেল নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে ১৬৩ শতাংশ বেশি কয়েদির রয়েছে এখানে। প্রায় ১৫০০-র বেশি কয়েদি এখানে থাকার কারণে প্রায়শই হিংসার ঘটনা ঘটে এই জেলখানায়। জেলে কর্মীর সংখ্যাও অনেক কম।