জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুকে একটি হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে হরতাল ও অবরোধ পালন করছে তার কর্মী সমর্থক ও স্থানীয়রা।
রায়হান রহমতুল্লাহ মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
আজ সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জালিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। হরতালের কারণে মাদারগঞ্জে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় আন্দোলনে থাকা নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না।
আন্দোলনকারীরা জানায়, স্থানীয় সার ব্যবসায়ী নওশের আলী হত্যা মামলায় মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ এজাহার নামীয় আসামি না থাকা সত্ত্বেও পুলিশের অধিকতর তদন্তে সম্পূরক চার্জশিটে তাকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
এই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। গত ৩০ জুন তার উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়।
এর আগে সোমবার (১ জুলাই) জামালপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন তিনি। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাদারগঞ্জ উপজেলা।
Advertisement
আরও পড়ুন : থুতু ফেলে ভালোবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ, সইতে না পেরে বিষপান নবদম্পতির
রাতেই উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জরুরি সভা ডেকে মাদারগঞ্জে হরতালসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আন্দোলনকারী নেতা কর্মীরা জানান, নেতার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও রোগীরা হরতালের আওয়াতা মুক্ত রয়েছে বলে জানান তারা।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, হরতালের ফলে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় আছে। বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।