বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (দশম ব্যাচ) রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেনের ওপর অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (একাদশ ব্যাচ) শিশির হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত আরিফ বর্তমানে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শিশির হোসেন ছাত্রলীগের তমাল-আরাফাত-সুমন গ্রুপের অনুসারী এবং হামলার সময় তারাও উপস্থিত ছিলেন। এ দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক আবু ওবায়েদকে মারধর করে এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেয় তারা।
আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিশির। এ সময় আরিফ হোসেনসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে বাধা দেয় এবং নিষেধ করলে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
চলন্ত ট্রেন আটকে দিল আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা
কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে শিশির ছাত্রলীগ কর্মীদের একটি বহর নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বাগবিতণ্ডা করেন। পরে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবসহ আরও অনেকেই।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শিশির আহমেদ সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আহত শিক্ষার্থী আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তীব্র অসুস্থতার জন্য বক্তব্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। মাথায় আঘাতের ফলে সন্ধ্যার পর পরই তাকে সিটিস্ক্যানের জন্য পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি শুনেছি। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে তারা ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সুত্রঃ কালবেলা