21 C
Dhaka
Wednesday, December 11, 2024

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এবার জড়াল শিল্পী তাহসানের মায়ের নাম!

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এবার জড়াল জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের নাম। বিসিএস ও বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় একটি চক্র প্রশ্নফাঁস করে আসছে সম্প্রতি এমন সংবাদ প্রকাশের পর গ্রেফতার করা হয় পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭ জনকে।

এর পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে নানা তথ্য। এ কাণ্ডে যাকে নিয়ে এত আলোচনা পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক আলীর গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীকে নিয়ে। কিন্তু ড. সাদীক আলী দাবি করেছেন সে আবেদ আলী তার গাড়িচালকই ছিলেন না। তিনি ছিলেন সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়ির চালক। তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।

আরও পড়ুনঃ  আলটিমেটামেও কাজে যোগ দেননি কিছু পুলিশ কর্মকর্তা

ড. মোহাম্মদ সাদিক জানান, ‘আমি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগে পিএসসির সদস্য ছিলাম। আমি যোগদানের আগে ওই লোকের (আবেদ আলী) চাকরি গেছে বলে শুনেছি। ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিলেন। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ বরখাস্ত হন। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।’

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন দেশের অন্যতম প্রধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অষ্টম চেয়ারম্যান। ২০০২ সালের ৯ মে তিনি পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘এই খাসি আমার লাইফ ধ্বংস করে দিয়েছে’

১৯৯৭ সালের দিকে রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোডের পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার একটি ব্যাচেলর মেসে থাকতেন আবেদ আলী। ওই মেসেই আবেদ আলীর পরিচয় হয় সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এলাকার শাহিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। শাহিনের মামা মেজবাহ চাকরি করতেন সচিবালয়ে। শাহিনের মাধ্যমেই পিএসসিতে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি হয় তার।

প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, ততদিনে সৈয়দ আবেদ আলী প্রমোশন লাভ করে পিএসসির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হন। সে সময় থেকেই মূলত সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘসময় ধরে তিনি একটি চক্রের সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস করে আসছিলেন। তবে, ওই সময়ে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন।

নন-ক্যাডারের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পিএসসির চাকরি থেকে ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: ছাত্রদল

পিএসসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন-ক্যাডারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার’ পদের লিখিত পরীক্ষা ২০১৪ সালে ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে হলের বাহির থেকে অবৈধভাবে সরবরাহকৃত সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরসহ ৪টি লিখিত উত্তরপত্র হাতেনাতে ধরা হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনের ধারায় মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তে সৈয়দ আবেদ আলীর সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য-প্রমাণ মেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান। সেবারই ঘটে বিসিএসে সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারি, বাতিল হয় পরীক্ষা। দুর্নীতির জন্য আবারও বিসিএসের ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে বাদ পড়েন তাহসান খান।
সুত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ