রাজধানীর শাহবাগে সময় সংবাদের প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম ও চিত্র সাংবাদিক প্রিন্স আরেফিনের ওপর হামলা চালিয়েছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় আরেফিনের হাতে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার এমন একটি ভিডিও সময় সংবাদের হাতে এসেছে।
এতে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা হঠাৎ সময় সংবাদের প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম ও ফটো সাংবাদিক প্রিন্স আরেফিনের ওপর চড়াও হয়। মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বাঁধা ও আবির নাম লিখা কালো রঙের জার্সি পরা এক যুবক সাংবাদিক তামিমের ওপর আঘাত করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আরেকজনের হাত থেকে হেলমেট নিয়ে তামিমকে মারতে তেড়ে আসেন ওই যুবক। এ সময় কয়েকজন তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশে সদস্যদের।
বিকেল ৪টা থেকেই শাহবাগ মোড়ের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। বিকেল ৫টার কিছু সময় আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন স্লোগানে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তবে শাহবাগ মোড়ে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কিছু সময় ধস্তাধস্তি হয়।
অবশেষে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের ঠেলে শাহবাগ মোড় ও মেট্রেরেল স্টেশনের নিচে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পিছু হটতে বাধ্য হন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়ার পর থেকে রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডগামী, বাংলা মোটরগামী, মৎস্য ভবনগামী ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।