‘আমার বাবু কই? পুলিশরা তো গুলি করবে। তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। সকালে না খেয়ে আমার বুকের ধন মিছিলে চলে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে এই বাচ্চাদের একটু সান্ত্বনা দিয়ে বাসায় পাঠান। ওদের মনের কথাগুলো এবার একটু বুঝুন।’
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠে ছেলেকে খুঁজতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মা সুবর্ণা চৌধুরী। তাকে বিলাপ করতে দেখে আশপাশে জড়ো হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর চোখ ছল ছল করতে দেখা গেছে।
সকাল ১০টা থেকে বড় মাঠে সমবেত হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সেখান থেকে শহরের চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় শহরের চৌরাস্তা থেকে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যান চলাচল ও দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। তাতে জেলার বড় অংশজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড গরমে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে শিক্ষার্থীরা শহরের চৌরাস্তায় এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেন।
এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চৌরাস্তা এলাকা। শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা ফেস্টুনে ‘বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটাসহ সকল বৈষম্য নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল।
সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা নিয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।