সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখামাত্র গুলি চালানোর বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। আন্দোলন ঠেকাতে গোলাবারুদের ব্যবহার সম্পর্কে ঢাকার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বুধবার (২৪ জুলাই) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিক্ষোভকারী দেখামাত্র গুলির করার যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এ জবাব দেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের এই মুখপাত্র।
মানবাধিকার নীতির সব শর্ত পূরণ করে যেন শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পাঠানো হয় তা নিশ্চিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিশ্ব সংস্থাটি, জানান তিনি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তা। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারি এবং মানবিক কার্যাবলির প্রশংসা করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে সফলভাবে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
২৫ ও ২৬ এপ্রিল নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর পরিদর্শনকালে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তখনকার প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।