পাকিস্তানে ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা। তিনি বলেছেন, ভিপিএনের অতিরিক্ত ব্যবহার ইন্টারনেটের গতিকে প্রভাবিত করেছে। রোববার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। খবর জিও নিউজের।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা বলেন, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির করা হয়নি। বরং ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেটের গতি প্রভাবিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যখন নির্দিষ্ট অ্যাপের পরিসেবা ব্লক করা হয়েছিল, ব্যবহারকারীরা তখন ভিপিএন ব্যবহার করতে শুরু করে। এটি (ভিপিএন) স্থানীয় ইন্টারনেট পরিসেবাগুলোকে বাইপাস করে গতি কমায়। ভিপিএন করলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কমে।
তবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, সরকার একটি ফায়ারওয়াল পরীক্ষা করছে। এটি এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের ওপর নজর রাখতে এবং অনলাইনে মানুষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যবহার করা যায়।
আইটি বিশেষজ্ঞ মালিক মুদাসসার বলেছেন, ভিপিএনের ব্যবহার শুধু ১০ থেকে ১৫ শতাংশ স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর সংযোগকে কমাতে পারে, যা কোনোভাবেই দেশব্যাপী ইন্টারনেট সমস্যা সৃষ্টি করে না।
এআরওয়াই নিউজকে তিনি বলেন, সরকার একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল এবং কন্টেন্ট ফিল্টারিং সিস্টেম স্থাপনের কারণে ইন্টারনেটের গতি কমেছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে তাকে মুক্তি দিতে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। ছাত্র বিক্ষোভ দমনে নানা কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করছে পাক সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের গতি কমানো বা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনকারীদের ওপর নজর রাখতে সরকার গোয়েন্দা সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।