কলকাতায় আলোচিত আরজি করের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ‘নবান্ন অভিযান’ নামের প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। এ উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালকে ‘নবান্ন’ বলা হয়। এখান থেকে রাজ্য সরকারের দাপ্তরিক কাজ পরিচালিত হয়। নবান্নতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের অফিস রয়েছে।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। এরপর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো কলকাতা। আজ মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সচিবালয় অভিমুখে মিছিলের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’।
পুলিশ বলছে, আজ মিছিল থেকে সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে, এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং অন্তত ১৯টি পয়েন্টে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতার বাইরে হাওড়া শহরেও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এসব পয়েন্টে ২৬ জন উপ–পুলিশ কমিশনার দায়িত্বে থাকবেন।
নবান্ন অভিযানের ডাকের পেছনে বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি বলেছে, চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পুলিশকে ব্যবহার করছেন।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি ছাত্র সমাজকে। হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, কর্মসূচি সংক্রান্ত সকল জরুরি তথ্য আগে থেকে পুলিশকে অবহিত করতে হয়, কিন্তু ছাত্র সমাজ তা করেনি। এ ছাড়া নবান্নের কাছে এ ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই। তারপরও ছাত্র সমাজ যেহেতু কর্মসূচি ডেকেছে, তাই পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।