সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আটক হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি। তিনি আটক নাকি আটক নন তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী আটক হয়েছেন বলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে অসমর্থিত সূত্রে স্ক্রল ও সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে আটক করা হয়নি। অন্য কোনো বাহিনী কর্তৃক আটক হয়েছেন কি না তাও নিশ্চিত করেননি তিনি। একইভাবে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার।
জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত তাকে আটকের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আলী আরাফাতকে আটক করা হয়।
এমন খবরের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানও আটকের বিষয়টি স্বীকার করেননি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মতো আত্মগোপনে চলে যান ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এরপর গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন তিনি। তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও ৪৬ জন ওই মামলার আসামি। এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলার আসামি আরাফাত।
গত ১২ আগস্ট পলাতক থাকা আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
এরআগে গত ১৪ আগস্টও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, আরাফাত ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন। পরে অবশ্য দূতাবাস জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রচার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে আলোচনা করে পরিচিতি পাওয়া আরাফাত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এরপর থেকে তিনি দলের বুদ্ধিবৃত্তিক নানা কাজে যুক্ত ছিলেন।