23 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

মৃত্যুর আগে ফেসবুক পোস্টে যা লেখেন সাংবাদিক সারাহ

রাজধানীর হাতিরঝিলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি-টিভির সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাহানুমা সারাহ জি-টিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। সারাহ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তার সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে রাহানুমা সারাহর লেখেন- তোমার মত বন্ধু পেয়ে আমি ভগ্যবান। আল্লাহ তোমাকে সর্বদা মঙ্গল করুন। আশা করি, শীঘ্রই তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি জানি আমরা একসঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত, আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারছি না। আল্লাহ তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আশীর্বাদ করুন।

আরও পড়ুনঃ  জিরো পয়েন্টে আসার ডাক আ.লীগের, মোকাবিলার ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের

হাতিরঝিলে নারী সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার

এর কিছুক্ষণ আগে আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন- জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভাল।

সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর পূর্বে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

আরও পড়ুনঃ  মোদি-হাসিনা জুটি বাংলাদেশে শাসন পরিবর্তন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে

তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও হয়নি তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।

রাহানুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া পথচারী সাগর জানান, ওই নারীকে ঝিলের পানিতে ডুবতে দেখেন তিনি। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান ওই নারী আর বেঁচে নেই।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ