22 C
Dhaka
Sunday, November 24, 2024

ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে দাম কমেছে মধুর ক্যান্টিনের খাবারের

কোনো ধরণের ভাড়া বিল না দিলেও খাবারের মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখার দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল মধুর ক্যান্টিনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে ছিলো মধুর ক্যান্টিনের খাবার। দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে রিপোর্ট প্রকাশের পর এবার দাম কমেছে মধুর ক্যান্টিনের সকল খাবারের। পাশাপাশি বাদ দেওয়া হয়েছে কিছু অস্বাস্থ্যকর ও বেশিদামে বিক্রি করা খাবার।

রবিবার সরেজমিনে মধুর ক্যান্টিনে দেখা যায়, সেখানে খাবারের একটি মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রঙ চা ৬ টাকা, দুধ চা ৭ টাকা, সন্দেশ ১৫ টাকা, পাটি সাপটা ২০ টাকা, সিঙ্গারা ছোট, মাঝারি এবং বড় যথাক্রমে ৫, ৮ ও ১০ টাকা, পুডিং ৩০ টাকা, দই ২০ টাকা, মাখন রুটি ২৫ টাকা, কেক ১০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  এবার ভোজের জন্য ঢাবির হলে আনা গরুর নাম ‘আদু ভাই সাদ্দাম

অন্যদিকে পুর্বের খাবারের তালিকা অনুযায়ী দাম ছিলো সিংগারা ১০ টাকা, সবজি রোল ১৫ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, স্যান্ডউইচ ৬৫ টাকা, শর্মা ৮৫ টাকা, পুডিং ৩৫ টাকা, পাটিসাপটা ২৫ টাকা, মাখন রুটি ৪০ টাকা, রং চা ১০ টাকা, ছানা ছোট ২ টুকরা ৩৫ টাকা, ছোট ৫ পিচ মিষ্টি ৫০ টাকা প্লেট এবং কেক ১৫ টাকা দাম রাখা হয়।

পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অতিরিক্ত দাম রাখা শর্মা, সমুচা, ছোট মিষ্টি এগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে খাবার তালিকা থেকে। অন্যদিকে মাখন রুটি, সিংগারা, কেক, পাটি সাপটা, পুডিংসহ কয়েকটি খাবারের দাম কমেছে।

আরও পড়ুনঃ  মায়ের সঙ্গে আন্দোলনে ছোট্ট শিশু, পিঠে লেখা-কোটা প্রথা কবে যাবি?

শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ছাত্রলীগের আশকারা পেয়ে এতদিন সকল ধরণের খাবারের অনিয়ন্ত্রিত দাম রেখেছে মধুর ক্যান্টিনের বর্তমান পরিচালক অরুন কুমার দে। ছাত্রলীগ না থাকায় সে খাবারের দাম কমিয়ে দিয়েছে।

শিক্ষার্থী মামুন সরকার বলেন, এতদিন তারা ছাত্রলীগের ক্ষমতা ব্যবহার করতো। স্টাফদের ব্যবহারও ছিলো অত্যাধিক খারাপ। খাবারের মান ও দামের কথা তো বলার বাইরে ছিলো। এখন ছাত্রলীগ না থাকায় তাদের ব্যবহারও ভালো হয়েছে। আগে চা খুব বাজে ছিলো এখন তারা দাম কমিয়েছে পাশাপাশি টি প্যাক ব্যবহার করছে। সব মিলিয়ে আগের থেকে এখন ভালো করেছে সবকিছু।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

কর্মচারী মাইকেল বলেন, আমরা এখানে কোনো কিছুর সাথে জড়িত নই। কারও সাথে খারাপ আচরণও করিনা। দাম কমানো বাড়ানো মালিকের সিদ্ধান্ত। মালিক যেভাবে বলে আমরা সেভাবেই করি। তবে আমরাও চাইতাম সবাই কম দামে খাবার পাক।

এতদিন দাম কমেনি এখন কেন কমলো জানতে পরিচালক অরুন কুমার দের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ