21 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

১১ সেপ্টেম্বর গোলাপশাহ মাজার ভাঙ্গার ঘোষণা

আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত গোলাপশাহ মাজার ভাঙ্গতে সোশ্যাল মিডিয়ায় “গুলিস্তানে গোলাপশাহ মাজার ভাঙ্গা কর্মসূচি” শীর্ষক একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ এরই মধ্যে এতে সাড়াও দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট খুলে আন্দোলনের সংস্কৃতি রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য হুমকি কিনা ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ভাঙ্গার এই ঘটনাগুলো ঘটার কারণ কি? ক্ষমতার পটপ্রিবর্তনের সাথে এর কোন সামঞ্জস্যতার যৌক্তিকতা নিয়ে। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটছে? কারা ঘটাচ্ছে? এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কী?

আরও পড়ুনঃ  মুন্নি সাহার লাইভ বিডিআর বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে

মাজারগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

বাংলাদেশে শত শত বছর ধরে বিশ্বের অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশের মতই সুফি বা ধর্মীয় প্রচারকদের কবর কেন্দ্রিক মাজার গড়ে ওঠার ধর্মীয় সংস্কৃতি আছে। যেখানে অনেকে মনোকামনা পূরণের উদ্দেশ্যে মানত করে থাকেন। যদিও ইসলামিক রীতিতে মাজার ব্যবস্থা কতটা ধর্মসম্মত, তা নিয়ে বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোয় অনেক সময় মাজার কেন্দ্রিক ব্যবসা, প্রতারণা, মাদক ব্যবহার বা অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  পাতে উঠছে না ইলিশ, পাঙাশকে জাতীয় মাছ ঘোষণার দাবি

তবে ইসলামিক চিন্তাবিদরা বলছেন এভাবে হামলা করা গ্রহণযোগ্য নয়। মাজার ভাঙ্গা নিয়ে যে ধরনের ক্যাম্পেইন চলছে, সেটিকে অন্যায় মনে করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগ, সিলেটের শাহপরান, সিরাজগঞ্জের একাধিক, ঠাকুরগাঁওয়ের বিবি সখিনার মাজার সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু সংখ্যক মাজার তছনছ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ