নীতিসারাদেশবিশ্বখেলাবিনোদনশিক্ষাবাণিজ্যস্বাস্থ্যমতামতধর্মআইঢাকার সাভারে ইয়াবাসহ যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে সাভারের খনিজনগর এলাকা থেকে নারী, ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ বিরুলিয়া ইউপি যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদকে আটক করে ডিবি।
অভিযানের সময় এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের এক সহকারীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবি পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই শুভ মণ্ডল ও এসআই মো. আনোয়ার হোসেনের একটি টিম সাভার থানাধীন বিরুলিয়া খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ও মাদক সম্রাজ্ঞী মোসা. পপি আক্তারকে আটক করে।
ডিবি পুলিশ জানায়, আসামিদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে সাভারের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করে। আসামিদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাঙামাটিতে পাহাড়ি দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি
মাদকসম্রাজ্ঞী পপি আক্তার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার বড় মেয়ে আর মো. আব্দুল হামিদ বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের আ. ওহাবের বড় ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ একজন নারী দেহ ব্যবসায়ীকে নিয়ে অবৈধ কাজ করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় বাইরে থেকে নারী ভাড়া করে এনে এলাকায় অনৈতিক কাজ করেন। প্রায় সময়ই মদের ও ইয়াবার আসর বসান। হামিদ প্রভাবশালী হওয়ায় তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। আব্দুল হামিদের গ্রেপ্তারে স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়। এসময় তারা ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানায়। এ ছাড়াও আব্দুল হামিদ এর আগেও র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে এসে একই রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের গ্রেপ্তার ও তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস মিজানুর রহমান মিজান কালবেলাকে বলেন, ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। বিস্তারিত আমি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাব। সে যদি আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠনের পরিপন্থি কোনোরকম কার্যক্রম করে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আব্দুল হামিদের আগেও এলাকায় বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে স্থানীয়ভাবে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের বদনাম করেছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জি এস মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।