ভারতে দুই সেনা কর্মকর্তাকে মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জাম গেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওই অফিসারদের ওপর হামলা চালায়। লুটপাটের এক পর্যায়ে অফিসারদের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীর দিকে নজর পড়ে তাদের। হামলাকারীরা পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে বুঝতে পেরে ওই নারীকে মারধর করে। এরপর তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের একজনের বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, মহউ আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণরত দুই অফিসার বিকেলে ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে নারীদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ পিস্তল, ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আটজন লোক তাদের ঘিরে ফেলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা সেনা অফিসার ও নারীদের মারধর শুরু করে। হামলাকারীরা ভুক্তভোগীদের টাকা ও জিনিসপত্র ছিনতাই করে। কিন্তু এতে ক্ষান্ত না হয়ে এক অফিসার এবং এক নারীকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মুক্তিপণ আনার শর্তে ছাড়া পাওয়া অফিসার তার ইউনিটে ফিরে আসেন এবং কমান্ডিং অফিসারকে ঘটনা জানান। তিনি দ্রুত পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সে সঙ্গে সেনাদের একটি দল সাজোয়া যান নিয়ে অগ্রসর হতে শুরু করে। দূর থেকে সেনাদের আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জিম্মি সেনা অফিসার ও নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ওই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে বেধড়ক পেটানোও হয়। স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে।
এদিকে অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ন্যাক্কারজনক এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গ্রেপ্তার করে ভারতের দণ্ডবিধির আওতায় কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।