অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। যেখানে গুরুত্ব রাখছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দেশ দুটিকে ঘিরে একটু বেশি আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্পর্ক জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। যে দলে থাকছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
তবে সরাসরি ঢাকা আসছেন না ডোনাল্ড লু। দিল্লি হয়ে ঢাকা আসবেন তিনি। সেখানে ওয়াশিংটন-দিল্লি প্রতিরক্ষাবিষয়ক ইন্টারসেশনাল সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন তিনি। এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এতে ঢাকাকে বিরক্ত না করার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দিল্লিকে বার্তা দেওয়া হবে।
দৈনিক সমকালের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা চাচ্ছে, বাংলাদেশ যেন ঘুরে দাঁড়ায়। তাই বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের চাহিদাগুলো জানতে চাইবে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে বিষয়গুলোতে সামনের দিনে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক জানান, নেইম্যান ও লু ছাড়াও এ দলে থাকছেন মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌরসহ কয়েকজন। আগামীকাল ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসবে। ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে ওয়াশিংটন থেকে উচ্চ পর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
প্রতিনিধি দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে রোববার সকালে সাক্ষাৎ করবে। এছাড়াও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠক করবে দলটি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে মূলত বাংলাদেশের বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতার বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। আসতে পারে তাৎক্ষণিক সহযোগিতার ঘোষণা। আর দীর্ঘ মেয়াদে সহযোগিতার বিষয়গুলো দলটি ওয়াশিংটন ফিরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে। সফর থেকে তারা মূলত জানতে চাইবে বাংলাদেশের চাহিদাগুলো।