সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৪ আগস্টে সুনামগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এম এ মান্নানকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এই ঘটনাসহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় তার যুক্ত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সম্পাদকসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওইদিন দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্রর আদালতে মামলা দায়ের করেন দোয়ারাবাজারের এরোয়াখাই গ্রামের মো. হাফিজ আহমদ। তিনি ওই গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধূম্রজাল
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই জহুর আলী ও রিপন মিয়াসহ আহতদের শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুলি করে। হামলাকারীরা কেউ বা সশরীরে ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে গেলে আওয়ামী চিকিৎসকগণের অসহযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় রয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক রিয়াজ আহমদ।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে আসামিরা হলেন, মঞ্জুর আহমদ খন্দকার, শংকর চন্দ্র দাস, রেজাউল আলম নিক্কু, আবুল কালাম, এহসান উজ্জল, অমল কর, প্রদীপ রায়, রিগ্যান, আপ্তাব উদ্দিন, কুদ্দুস ওরপে বেল কদ্দুস, বিন্দু তালুকদার, ফরিদ আহমদ ইমন, সুয়েব আহমদ চৌধুরী, জুবের আহমদ অপু, দীপঙ্কর কান্তি দে, আশিকুর রহমান রিপন, আলামিন রহমান, ফজলে রাব্বী স্মরণ।
সজিব রঞ্জন দাশ সল্টু, লিখন আহমদ, জিসান এনায়েত রেজা, আহসান জামিল আনাস, লুৎফুর রহমান লিটন, জহির আলী, ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রঞ্জিত চৌধুরী রাজন, জনি হোসেন, হাসানুজ্জামান ইস্পাহানী, ফজলুল হক, ফরহাদ, সাজন আহমদ, আবিদুর রহমান তারেক, নিরব, মেহের, আনোয়ার মিয়া আনু, হাসনাত হোসাইন, নুর হোসেন, ফয়সল আহমদ, নূরুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম (সামিয়ান তাজুল), মো. ফারুক মিয়া, মিলন খান, রাসেল আহমদ, মো. রতন মিয়া, ফারুক আহমদ সুজন, তাজিম তিমু, মো. বাবুল মিয়া, মো. আবুল মিয়া, উকিল, ওবায়দুর রহমান কুবাদ, লিটন সরকার, নূরুল ইসলাম বজলু, নূরুল ইসলাম, আবুল হোসেন খাঁ, কামাল হোসেন, জগলু মিয়া, ইকবাল হোসেন, রিমন, জাওয়াদ, সাইদুল পলাশ, শাহরিয়ার নিহান, শিহাব, প্রিন্স রাজা, মিতুল, মুকুল।
মাহির হোসেন, প্রিল, মসিবুর, শামসুল ইসলাম শামীম ওরফে শামস শামীম, মিজানুর রহমান, মেহদি হাসান সাকিব, মোস্তাক আহমদ, জমিরুল ইসলাম পৌরব, তুষার, মহিম তালুকদার, অয়ন, তাওসিফ, ছলিম উদ্দিন, সাহারুল আলম মুসাহিদ, শিমন চৌধুরী, আব্দুল কদ্দুস, খুর্শিদ, এবাদুর রহমান কুবাদ, শাহারিয়ার হোসেন বিপ্লব, জিকির আলীসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০/২০০ জন।