লক্ষ্মীপুর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি নিহতের স্ত্রী, সন্তানও। হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে পরিবার। তাদের দাবি, হামলাকারীরা স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং বিএনপির সমর্থক। তবে পুলিশ এখনও জানে না এই হত্যায় কারা জড়িত, কেন-ই বা ঘটেছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে জেলার সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দুই নম্বর পাঁচপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম নুর আলম ওরফে নুরু। পেশায় দর্জি নুরু ওই গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, নুরু রাজনীতির পাশাপাশি দর্জির কাজ করতেন। পাঁচ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, হামলাকারীদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছি। তারা বিএনপির সমর্থক ও স্থানীয় সন্ত্রাসী।
বিচার চেয়ে ছেলে ও ভাই শাহ আলমের দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে এই হত্যা।
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার. ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে নুরু মারা গেছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, নুরুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুই জনকে কুপিয়ে হত্যাবগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুই জনকে কুপিয়ে হত্যা
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই হত্যায় কারা জড়িত বা কেন ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।