উন্নত জীবনের আসায় বিভিন্ন জায়গায় নৌকায় চেপে যাত্রা করে থাকেন অভিবাসীরা। এ যাত্রায় অনেকে প্রাণও হারান। তেমনি একটি নৌকায় এবার ৩০ জনের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল উপকূলে নৌকা থেকে ৩০ জনের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটি উপকূলীয় এলাকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দেশটিতে উন্নত জীবনের আশায় উপকূলীয় এলাকা থেকে অভিবাসীদের বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনেগালের রাজধানী ডাকার থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে একটি ভাসমান নৌযানের বিষয়ে নৌবাহিনীকে জানানো হয়েছিল। সোমবার তারা এটিকে বন্দরে নিয়ে এসেছে।
সমুদ্র সৈকতে এলোপাতাড়ি গুলি-বোমা, নিহত ৩২
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মরদেহগুলোতে অতিমাত্রায় পচন ধরেছে। ফলে এগুলো উদ্ধার, পরিচয় শনাক্ত ও স্থানান্তর কার্যক্রম অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পচনশীল মরদেহগুলোর ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে, তারা অনেকদিন ধরে আটলান্টিক মহাসাগরে ভেসে ছিলেন। নৌকাটি কখন কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং তাতে কতজন যাত্রী ছিল তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।
এর আগে হত আগস্টে ডোমিনিকা উপকূলে অন্তত ১৪টি মরদেহ পচনশীল অবস্থায় পাওয়া যায়। এসব ব্যক্তিরা সেনেগালের অভিবাসী বলে ধারণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত আগস্টে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় ১০ বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সেনেগাল সরকার। এ ছাড়া দেশটির কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নৌকায় যাত্রা করা শত শত অভিবাসীকে আটক করেছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনেগাল হয়ে পশ্চিম আফ্রিকা ছাড়তে চাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ তালিকায় থাকা বেশিরভাগ অভিবাসী যুবক বয়সের। সংঘাত, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে তারা সমুদ্রপথে স্প্যানিশ দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। চলতি বছরে এ এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসী আগমন করেছেন।
স্পেনই ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি অভিবাসী গ্রহণ করে থাকে। দেশটিতে পৌঁছাতে ভূমধ্যসাগরের পথটি অভিবাসীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতে পশ্চিম আফ্রিকান অভিবাসীরা আটলান্টিক মহাসাগরের পথ বেছে নেন।