28 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

নিজেকে উপদেষ্টা বানাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ফারুকীর আহ্বান

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলতে দেখা যায় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তাদেরকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন তিনি। এবারও নিজেকে উপদেষ্টা বানাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই নির্মাতা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষে সরব থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন ফারুকী। যদিও সে সবে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ফারুকী।

আরও পড়ুনঃ  সময় টিভির প্রধান নির্বাহী আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি

পাঠকদের জন্য নির্মাতার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি! আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি!

নিজেকে উপদেষ্টা বানাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ফারুকীর আহ্বান

ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি।

আরও পড়ুনঃ  নিহত আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি

ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হইছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিল বড় কৌতুকময়। নানা কায়দা-কানুন করে বেঁচে থাকতে হইতো। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হইতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হইতো।

তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করবেন। এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিল এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।

আরও পড়ুনঃ  ‘ড্রাইভার যদি কামায় কোটি কোটি, তাহলে মালিক তো বিলিয়ন বিলিয়ন’

ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, চুরি-চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের ওপর রাগ আছে। কেন আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম—এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের ওপর পিএইচডি করতে হচ্ছে। কিন্তু ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসবে সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ