শেখ মুজিবুর রহমান ‘জাতির পিতা’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এর আগে একই বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, অবশ্যই শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা না। জাতির পিতা হিসেবে একটি দল বা একজন ব্যক্তিকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা উপাধি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে কেবল একজন নয় মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু শুধু ১৯৫২ থেকেই শুরু হয়নি। আমাদের ইতিহাসে দীর্ঘ লড়াই আছে, ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ১৯৪৭ সালের লড়াই আছে। আমাদের ইতিহাসে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, আবুল হাসেম, যগেন মণ্ডল, মাওলানা ভাসানী এমন অনেক মানুষের লড়াই আছে। আমরা তো মনে করি এখানে একজন জাতির পিতা না, বরং অনেক ফাউন্ডিং ফাদার’স (জাতির পিতা) রয়েছে। যাদের অবদানের ফলে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। সুতরাং, জাতির পিতা হিসেবে আমরা একটা দলের বা একজন ব্যক্তিকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ইতিহাসের বহুমুখিতা আছে। যেটিকে আওয়ামী লীগ এতদিন অস্বীকার করেছে। তারা মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে, অথচ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।
তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্যের পরেই এ নিয়ে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ফেসবুক পোস্ট দেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তার সেই স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘একটি দেশের জাতির পিতা কে হবে, সেটা নির্ধারণ করবে সেই দেশের জনগণ। কোনো ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল না। শেখ মুজিবুর রহমানকে যদি দেশের মানুষ জাতির পিতা মনে করতো তাহলে গত ৫ আগস্ট বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতো না। শেখ মুজিব জাতির পিতা নয়, আওয়ামী ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রতীকী মাধ্যম।’
তার এই পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যের থেকে ইতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়ার মতই। মুহূর্তে লাইক এবং লাভ রিঅ্যাক্ট দিয়ে অনেকেই তা সমর্থন জানান। তার এই পোস্ট শেয়ারও করেন অনেকে।