নিজেদের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দলটির গাজা শাখার প্রধান খলিল হায়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুদ্ধরত অবস্থায় সিনওয়ার মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নিজের জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দখলদার সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছেন।
তিনি বলেছেন, “সিনওয়ার ছিলেন অবিচল, সাহসী এবং নির্ভীক। তিনি আমাদের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করেছেন। তার জীবনের শেষটা হয়েছে সাহসের ওপর দাঁড়িয়ে, তারা শির ছিল উঁচু, হাতে ছিল অস্ত্র এবং শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ পর্যন্ত গুলি ছুড়েছেন তিনি।”
খলিল আরও বলেছেন, “সিনওয়ার তার জীবন পার করেছেন একজন যোদ্ধা হিসেবে। জীবনের শুরুর দিকে প্রতিরোধী যোদ্ধা হিসেবে নিজের লড়াই শুরু করেন তিনি। ইসরায়েলি কারাগারে থাকা অবস্থায়ও তিনি প্রতিবাদী হিসেবে দাঁড়ান। বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নিজের এবং স্বাধীনতার লড়াই অব্যাহত রাখেন।”
হামাসের গাজা শাখার প্রধান জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজায় হামলা বন্ধ না করবে এবং তারা তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার না করবে ততদিন পর্যন্ত জিম্মিদের ফেরত দেওয়া হবে না।
সিনওয়ারের মৃত্যুর মাধ্যমে গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। কারণ তাদের মতে সিনওয়ার কঠোর অবস্থান থেকে সরে না আসায় যুদ্ধবিরতি হচ্ছিল না। এসব গুঞ্জনের মধ্যেই হামাস জানাল যদি ইসরায়েল তাদের জিম্মিদের ফেরত চায় তাহলে আগে গাজায় বর্বরতা বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জিত না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত হামাসের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন খলিল হায়া।
তিনি বলেছেন, “দখলদারদের বন্দিরা (জিম্মি) ফিরবে না যতক্ষণ গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হচ্ছে। গাজা থেকে তাদের সেনারা পুরোপুরি সরে না যাচ্ছে এবং আমাদের বন্দিরা জেল থেকে মুক্তি না পাচ্ছে। হামাস তার কার্যক্রম চালাবে যতক্ষণ সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠিত না হবে। যেই স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে জেরুজালেম।”
সূত্র: আলজাজিরা