কুমিল্লায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দিবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু মোহাম্মদ রায়হান। তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে দেয়া এক লাখ টাকা পুরস্কারে পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল হয়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় আবু মোহাম্মদ রায়হান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ পোস্ট করেন। ফেসবুকে পোস্টটি নিজে করেছেন বলে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সমন্বয়ক আবু মোহাম্মদ রায়হান।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের পুলিশে সোপর্দ করলে এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।’
এ ছাড়া একই পোস্টের কমেন্টে তিনি লিখেন, ‘এ ঘোষণা শুধু কুমিল্লা অঞ্চলের জন্য। আটক ব্যক্তি অবশ্যই অস্ত্রধারী, অস্ত্র বহনকারী, অস্ত্র সরবরাহকারী এবং সংরক্ষণকারী হতে হবে। নামমাত্র পদধারী কোনো ব্যক্তিকে আটকের জন্য এই পুরস্কার প্রযোজ্য হবে না।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু মোহাম্মদ রায়হান মুঠোফোনে বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা করে। ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। ওই সময় প্রচুর অবৈধ অস্ত্র নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের কাছে ছিল। এই সব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে এক লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে।’
এক লাখ পুরস্কারের টাকা তাদের পক্ষ থেকে দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, ছাত্রলীগের সদস্য হলে ৬ মাসের জেল (ধারা ৮)। ছাত্রলীগের ব্যাপারে সহমর্মিতা বা সমর্থন চাইলে ৭ বছরের জেল (ধারা ৯)। ছাত্রলীগের কাউকে আশ্রয় দিলেও তা সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে (ধারা ১৭), সাজা ৩-৫ বছর (ধারা ১৪) সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।