28 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

পাঠ্যবই থেকে জাফর ইকবালের লেখা বাদ, উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা

দেশের স্কুল-কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের গল্প-প্রবন্ধ পুরোপুরি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, পাঠ্যবইয়ের অতিরঞ্জিত ইতিহাস বাদ দিয়ে, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে যার যেটুকু অবদান তা সঠিকভাবে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যান্য পরিমার্জনের পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির বাংলা বইয়ে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ বাদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের সব বই থেকে তার লেখা বাদ পড়ছে।

আরও পড়ুনঃ  শতভাগ জিপিএ-৫ পেল যশোরের জাফরীয়া মাদ্রাসা

আওয়ামী লীগের শাসনামলে পাঠ্যবই রচনা ও সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে তার একাধিক গল্প-প্রবন্ধ ছিল। অনেক বইয়ের সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঠ্যবই পরিমার্জন সমন্বয় কমিটিতে যুক্ত শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা বলেন, যে কোনো সরকার পরিবর্তনের পর পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। সময়ের সঙ্গে পরিমার্জনে অনেক কিছু বাদ যায়। এবার যেহেতু গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বদল আসা স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তী সরকার নতুন বই করছে না। ২০১২ সালের প্রণীত কারিকুলামের বইগুলোর সর্বশেষ সংস্করণ পরিমার্জন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  থার্ডক্লাস নিয়েও চবির ভিসি হন নওফেলের ‘খাস লোক’ আবু তাহের

জাফর ইকবাল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত। তিনি বাম ঘরানা হিসেবেও পরিচিত। সব সময় জাফর ইকবাল ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আওয়ামী লীগ তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতো। গণঅভ্যুত্থানের পর সবকিছুই সংস্কার হচ্ছে। এর মধ্যে পাঠ্যপুস্তক থেকে তার সব বই বাতিল হচ্ছে। এতে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা।

সাব্বির হোসাইন সাব্বির নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। জাফর ইকবাল ছিলেন গণহত্যাকারীদের দোসর। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

আলামিন হোসাইন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। ইসলাম বিদ্বেষী মুসলমানদের সন্তানদের সেকুলারিজম শিক্ষা দেওয়ার মূল নায়ক জাফর ইকবাল। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

আরও পড়ুনঃ  মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধীদের আনফ্রেন্ড করলেন ঢাবি অধ্যাপক

মো. সায়েম খাঁন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, একটা জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য জাফর ইকবাল সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন গণহত্যাকারীদের দোসর। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

আবুল বাশার রানা নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, শুধুমাত্র তার বই বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারলাম না। শিক্ষায় তার অপকর্মের জন্য তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ