নোয়াখালীতে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বক্তব্য শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মাথায় হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক মিনিট বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার পর গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে অনুরোধ করলে পুনরায় বিদ্যুৎ চালু হয়। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকা অবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে নোয়াখালীর মাইজদী হরিণারায়ণপুর স্কুল মাঠে ‘ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে ধারণ করে দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্ত বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে’ আয়োজিত সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যুৎ বন্ধ থাকা অবস্থায় সাউন্ড সিস্টেমের মাইকগুলো বন্ধ থাকায় স্টেজে থাকা এক নেতা ভিপি নুরের হাতে হ্যান্ড মাইক তুলে দিলে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। আমার বক্তব্যের শুরুতেই ষড়যন্ত্র করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গণঅধিকার পরিষদের জোয়ার ঠেকানো যাবে না।’
ঢাকায় গিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হবে উল্লেখ করে ভিপি নুর বলেন, ‘বিদ্যুতের লাইন যারা বন্ধ করেছে তাদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল, তারা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রোগ্রাম করবেন। কিন্তু তারা যে ৫ টার পরও প্রোগ্রাম চালিয়ে যাবেন- তা আমাদের জানাননি। এখানে বোঝাবুঝির ভুল হয়েছে। পরে তারা ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেছি। এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই।