28 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

বিতর্কিত এনজিও-নেত্রীদের দিয়ে নারী সংস্কার কমিশন গঠন: ব্যাপক সমালোচনা

বিতর্কিত এনজিও-নারী নেত্রীদের দিয়ে নারী সংস্কার বিষয় কমিশন গঠন করায় ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। কমিশনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। অন্যদিকে কমিটিতে বিতর্কিত নারীবাদীদের রাখায় ইসলামবিদ্বেষী পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

গতকাল সোমবার সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে ১০ সদস্যের এই কমিশন গঠন করেছে সরকার। কমিশনে যারা আছেন তাদের অধিকাংশই এনজিও নেত্রী হিসেবে পরিচিত। যারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ নারীদের প্রতিনিধিত্ব করেননা। ফলে এই সংস্কার কমিশন থেকে ইতিবাচক কিছু আশা করছেন না সচেতন মহল।

নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন পারভিন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।

আরও পড়ুনঃ  কাঁদলেন রিজভী, বললেন ছাত্ররা জীবন দিয়ে জাতিকে মুক্ত করেছে

জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিটির সদস্যদের তালিকা দেখে আমি অত্যন্ত হতাশ। এই তালিকায় থাকা নারীরা প্রায় সবাই এনজিও পরিচালনার সাথে জড়িত। দৃষ্টিভঙ্গিগতভাবে এদেরকে নারীবাদ, সিডো, নারী নীতি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও লৈঙ্গিক সমতা, উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সমান অধিকার, ট্রান্সজেন্ডার, এলজিবিটি ইস্যুতেও এদের অনেকেরই সমর্থন রয়েছে।

এনজিওগ্রামের সরকার কর্তৃক আরো একটি এনজিওগ্রামের কমিটি। এনজিওগ্রামের নারী নেত্রী ছাড়া এই দেশে কি আর নারী নেত্রী নাই? এরা বাংলাদেশের কত পারসেন্ট নারীর প্রতিনিধিত্ব করে? এ দেশের মূল্যবোধ, বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন নারী নেত্রীকে কি এই কমিটিতে রাখা যেত না? এদের কৃত সংস্কার বাংলাদেশের আপামর নারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি?

আরও পড়ুনঃ  ১৫ বছরই সুদ থেকে আয় করেছেন শেখ হাসিনা

আবু মামুন আজাদ লিখেছেন, ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভিন হককে।এই কমিশনে যারা আছেন তাদের অধিকাংশ এনজিও নেত্রী ,এরা দেশের সাধারণ নারীদের প্রতিনিত করেননা। তারা বিভিন্ন সময়ে ৯০% ভাগ নারীদের ঈমান আকিদা বিরুধী বক্তব্য দিয়ে থাকেন, এদের তৈরী রিপোর্টকে কেন্দ্র করে দেশে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হবে। সরকার বিতর্কিত হবে।

ইউসুল জুলকারনাইন লিখেছেন, নারী সংস্কার বিষয়ক কমিশনে যারা আছে তাদের নাম এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দেখেই মনে হচ্ছে এরা নারীদের নিয়ে এমন অনেক রিফর্ম সাজেস্ট করবে যা ইসলামবিরোধী। সরকার আরেকটা ঔন গোল দিয়েছে। যেকোনো ধরনের ইসলামবিরোধী সুপারিশ পাস করা হলে, আমরা বসে থাকব না ইনশা আল্লাহ।

আরও পড়ুনঃ  ‘আত্মগোপনে’ লায়লা উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম স্থবির

মোহাম্মদ সবুজ লিখেছেন, সব নারী বিদ্বেষীরাই কথিত নারী সংস্কার কমিশনে, ড. ইউনূস আসলে কি শুরু করলো? গণ আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিন্দু পরিমাণও মিল নাই!দেশটা কি উগ্র লিবারেল ডেমোক্রেট ব্লকের জঙ্গিদের জন্য স্বাধীন করেছি,, ।

নাইমা সুলতানা লিখেছেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নারীদের ধর্মীয় অনুভূতির দিকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধে থাকবে। কমিশনে নারীদের ধর্মীয় প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিলো।

ফেসবুকে অপর একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন। তাই কমিশনে একজন ইসলামিক স্কলার নারীকে রাখা জরুরি ছিল। যেহেতু বেশিরভাগ নারীর প্রতিনিধিত্ব নেই তাই এই নারী কমিশনের কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ