পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী। এটি ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
নৌবাহিনীর বহরে নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট থেকে এই মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। কে-৪ নামের নতুন এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা ভারতের পারমাণবিক হামলার জবাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত এবং আইএনএস আরিঘাট উভয় থেকেই ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া যায়। গত আগস্টে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তমে এক জঁমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরিঘাটকে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী বছর দেশটির নৌবাহিনীতে এই একই ধরনের আরেকটি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
এরআগে গত ১২ নভেম্বর নিজেদের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ভারত। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
ভারতের দাবি, ভূমিতে অবস্থিত যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটি ভূমি কিংবা জাহাজ থেকে ছোড়া যাবে। তবে পরীক্ষা হওয়া এ মিসাইল এবং সেটির রেঞ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেনি দেশটি।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক বিবৃতিতে ওই সময় বলেছিলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভারতের নিজস্ব উদ্যোগে এবং নিজেদের প্রযুক্তিকে তৈরি মিসাইল। এই সফল পরীক্ষা ভবিষ্যতে আরও দেশীয় মিসাইল তৈরির পথ উন্মুক্ত করে দিলো।”
সাধারণত দূরপাল্লার মিসাইলগুলোর রেঞ্জ ১ হাজার কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হয়। এর আগে ‘নির্ভয়’ এবং ‘ব্রহ্ম’ নামের দু’টি দূর পাল্লার ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালিয়েছিল ভারত। দুটিরই রেঞ্জ ছিল ১ হাজার কিলোমিটার।
সূত্র: এনডিটিভি