সময়টা ছিল ডিসেম্বরের ৭ তারিখ। আবারো জ্বলে উঠে আশার পিদিম। সময় এগিয়ে চলে অবিশ্বাস্য গতিতে। ১৩ বছরের কাজ হয় মাত্র ১২ দিনে। সিরিয়ার ইতিহাসে এ ছিল এক অবিস্মরণীয় দিন।
এদিন পতন ঘটে সিরিয়ার পাঁচ যুগের স্বৈরশাসনের। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। দীর্ঘদিন পর মন খুলে হাসে। আপনজনকে নিয়ে শামিল হয় আনন্দ মিছিলে। রাতে চাঁদও যেন নেমে আসে পৃথিবীর কোলে। জোছনায় স্নিগ্ধ করে ভূমি-প্রান্তর। ছাপিয়ে যায় আসাদীয় শাসনের রক্তচিহ্ন।
শাম যেন ফিরেছে আগের অবস্থায়। না, এখানে হাসির ছলে মানুষ হত্যা করা হয় না। যে কারণে আরবরা বলতো, শামে থাকো? মানে হাড্ডি নরম, গোস্ত পাতলা, মৃত্যুই পরিণতি। না, শাম এ অবস্থায় ফেরেনি। তাহলে? তাহলে শাম কি তার অধিবাসীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে? জনতার উপর আগুনের গোলা ছোঁড়ে? ভিনদেশী সেনা এনে স্থানীয়দের মৃত্যুমুখে ফেলে? শাম কি এমন সেনাদের আশ্রয় দেয়, যারা ভোরের হিমেল হাওয়া পছন্দ করে না? পছন্দ করে রক্তের নদী ও অশ্রুর দরিয়া। চায় আরো আরো শিশু এতিম হোক। এমন বিপর্যয় আরো দীঘল হোক।
না, শাম ওই অবস্থায় ফেরেনি। আল্লাহ ওই শিশুর কথা শুনেছেন, যে বলেছে, আমি আল্লাহকে গিয়ে সব বলে দেব। আল্লাহ তাদের সহায় হয়েছেন। এনে দিয়েছেন আজাদি। এখন জমিন তাদের জন্য উপযুক্ত। দেখতে পাচ্ছে নতুন যুগের হাতছানি।
হাঁ, ওই ৭ তারিখেই হয়েছিল সিরীয়দের ভাগ্যের ফায়সালা। এবার আসাদ ময়দানে টিকতে পারেননি। দেখাতে পারেননি তার নিদারুণ হিংস্রতা। বরং স্তব্ধ হয়ে গেছেন তিনি। অবাক করে দিয়েছেন তার মিত্রদের। আসাদ পরাস্ত হন। রক্ষা করতে পারলেন না সামান্য ভূমি। তাকে পালাতে হলো। দিতে হলো অজানা গন্তব্যে উড়াল। অবশেষে ভর করতে হলো অপরের করুণায়। সিরিয়ায় ইতি ঘটল আসাদীয় যুগের। আসাদ এখন ইতিহাসের অংশ। না, না। ইতিহাসের কালো চিহ্ন। এখন বাঁক বদল করেছে ইতিহাস। হয়েছে নতুন যুগের সূচনা। যেখানে আসাদীয় শাসনের কোনো ঠাঁই নেই। আসাদ এখন করুণার ভিখারী।
বিস্তারিত আসছে