ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে বুধবার (২২ মে)। একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি।
এদিন রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত জিহাদকে নিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি করে সিআইডি। মোট ছয়টি গাড়িতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে তল্লাশি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির কর্মকর্তারাও। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার (২৪) একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।
শেষ মুহূর্তে কী বলেছিলেন রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট
জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে তাকে বারাসাত আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।