পবিত্র হজে খুতবা পাঠের সুমধুর কণ্ঠে বিভোর থাকেন হাজিরা। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এত সুমধুর কণ্ঠ কার?
তিনি কোন মসজিদের ইমাম। কীভাবেই বা নিয়োগ পান হজের মতো এত বড় আসরে।
জানা গেছে, এবার পবিত্র হজের খুতবা প্রদানের জন্য নিযুক্ত হয়েছেন মসজিদ আল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ মাহের বিন হামাদ বিন মুহাম্মাদ বিন আল-মুআইকলি আল-বালাউই হাফিজাহুল্লাহ।
আগামী ৯ জিলহজ হজের দিন তিনি মসজিদে নামিরায় এক আজান ও দুই ইকামতে জোহর ও আসর সালাতে ইমামতি করে হজের খুতবা পেশ করবেন। মদিনায় জন্মগ্রহণ করা এই ইমাম উম্মুল কোরা ও কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেন।
অভিনব হজ প্যাকেজ চালুর ঘোষণা সৌদি আরবের
ড. মাহের মদিনার টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক এবং মক্কা আল মোকাররমায় শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
ড. মাহের ২০০৪ সালে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের আইনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ব্যাখ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. মাহের মক্কা আল-মোকাররমায় আল-আওয়ালি জেলার আল-সাদি মসজিদের খুতবার নেতৃত্ব দেন।
তিনি ১৪২৬ হিজরি এবং ১৪২৭ হিজরিতে পবিত্র রমজান মাসে নবীর মসজিদে নামাজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৪২৮ হিজরিতে রমজান মাসে পবিত্র মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদের নামাজের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই বছর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি গ্র্যান্ড মসজিদের সরকারী ইমাম হিসাবে নিযুক্ত আছেন।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। যেসব মুসলমনা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান, তাদের ওপর হজ ফরজ। মূলত নিজের দেশ বা ভূমি থেকে মক্কায় গিয়ে— আবার ফিরে আসা পর্যন্ত সামর্থ্য থাকলে, হজ ফরজ হয়।
কেউ যদি সম্পদ অথবা স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে হজে যায়; আবার হজ থেকে ফিরে এসে— বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবন নির্বাহ করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ হয়।
বাংলাদেশ থেকে এবছর এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাচ্ছেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। ৯ মে থেকে শুরু হয়েছে হজের প্রথম ফ্লাইট।