বিদ্যুৎ গেলেই থাকে না নেটওয়ার্ক, গ্রাহক ভোগান্তি চরমে
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অপর্যাপ্ত ও মানহীন বিটিএস (বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন) দিয়ে চলছে দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে আর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এতে করে গ্রাহকদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। দেশের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকের চাহিদা দিনদিন বাড়লেও মানহীন সেবার কারণে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জেনারেটর না থাকা, অপর্যাপ্ত টাওয়ার, মানহীন মাইক্রোওয়েভ, মানহীন ব্যাটারি, ওভার হেড ফাইবার এসব সমস্যার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সক্রিয় গ্রাহকের বিপরীতে টাওয়ার আছে মাত্র ৪৫ হাজার ২৩১টি। এরমধ্যে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২ হাজার ২৯৬টি, গ্রামীণফোনের ১২ হাজার ৫২৬টি, বাংলালিংকের ৪ হাজার ৬টি, টেলিটকের মাত্র ৬২১টি টাওয়ার রয়েছে। এর বাইরে এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ৮৬০টি, ইউ ডট কো লিমিটেডের ১৬ হাজার ৬৮৩টি, সামিটের ৪ হাজার ৩৮৮টি, কীর্তনখোলার ৬২১টি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের টাওয়ার সংখ্যা মাত্র ৫১৪টি।
এসব টাওয়ারের মাইক্রোওয়েভ মানসম্মত নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নীতিমালায় আছে মোবাইল অপারেটররা নতুন করে আর টাওয়ার তৈরি করতে পারবে না। অর্থাৎ এসব টাওয়ার কোম্পানি থেকে তাদের অর্থের বিনিময়ে সার্ভিস নিতে হবে। অথচ বর্তমানে টাওয়ারের ব্যাটারিগুলো মানহীন হয়ে পড়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সেজন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কাছে আমরা অনুরোধ করছি যেন এসব টাওয়ারের মাইক্রোওয়েভের মান এবং ব্যাটারির ধরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়।
একইসঙ্গে এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।